টাঙ্গাইলে ফের বন্যায় দিশেহারা বানভাসিরা

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে তলিয়ে যাচ্ছে ঘর বাড়ি, রাস্তা ঘাট, ফসলি জমি, রোপা আমননহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেসে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকার পুকুরের মাছ। নতুন করে বন্যাকবলিত হওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এসব বন্যাকবলিতরা। সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ বানভাসি মানুষের।

এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুর্যোগের কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও হানা দিয়েছে আরেক দফা বন্যা। গত প্রায় ৪মাস যাবৎ বন্যায় এ উপজেলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পানির নিচে নিমজ্জিত ছিলো। এতে ঘর বাড়ি, রাস্তা ঘাট, ফসলি জমি, রোপা আমননহ বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে ভেসে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকার পুকুরের মাছ।

বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই আবার এমন বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এই উপজেলার বানভাসি মানুষজন। নতুন করে বাসাইলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নৌকা করে চলাচল করতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের।

এদিকে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমে গেলেও এখন টাঙ্গাইল সদর কালিহাতি ভুয়াপুর ও নাগরপুর এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ এসব অসহায় মানুষদের।

এদিকে বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম দুর্যোগের কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ মানুষ রয়েছে। নতুন করে বন্যায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন